শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:৫৬ পূর্বাহ্ন
চুনারুঘাট (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি: হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার ৫টি বাজারে অবৈধ গরুর হাট বসিয়েছেন স্থানীয় কয়েকজন প্রভাবশালী নেতা। উপজেলার রাণীগাঁও ইউনিয়নের রাণীগাঁও বাজার, গাজীগঞ্জ বাজার, শানখলা ইউনিয়নের শাকিরমোহাম্মদ বাজার, মিরাশী ইউনিয়নের জলিলপুর বাজার, সাঁটিয়াজুড়ী ইউনিয়নের সুন্দরপুর বাজারে প্রতি শুক্রবার, সোমবার ও বুধবার গরুর হাট বসিয়ে রশিদের মাধ্যমে টাকা আদায় করা হচ্ছে। যার সম্পূর্ণ অর্থই তারা নিজেদের পকেটে নিচ্ছেন। এ কারণে চুনারুঘাট সরকারি পশুর হাট ও আমুরোড সরকারি পশুর হাট ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, সরকারও হারাচ্ছে লাখ লাখ টাকার রাজস্ব।
অবৈধভাবে রাণীগাঁও বাজারে শুক্রবার ও সোমবার গরুর হাট বসিয়ে হাঁকাজুড়া গ্রামের মুছাব্বির মিয়ার ছেলে সোহেল মিয়া, দরবেশ মিয়া, চাটপাড়া গ্রামের আঃ ওয়াহাবের ছেলে মোঃ আহাদ মিয়া ও রাণীগাঁও গ্রামের দিলু মিয়ার ছেলে দুলাল মিয়াসহ একটি চক্র অবৈধ গরুর হাট থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে।
এদিকে শাকির মোহাম্মদ বাজারে সোমবার, বুধবার ও শুক্রবারে অবৈধ গরুর হাট বসিয়ে কেউন্দা গ্রামের আরজু মিয়ার ছেলে শাহীন মিয়া, জানু মিয়ার ছেলে সবুজ মিয়া, কনা মিয়ার ছেলে তাহির মিয়া, ছিদ্দিক মিয়ার ছেলে আফরোজ মিয়া, সতং গ্রামের শুয়া মিয়ার ছেলে ছালেক মিয়া, ফান্দ্রাইল গ্রামের চান মিয়ার ছেলে জানু মিয়া, কাপুড়িয়া গ্রামের ভিংরাজ মিয়ার ছেলে উস্তার মিয়াসহ একটি চক্র অবৈধভাবে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন।
চুনারুঘাট সরকারি গরুর বাজারের ইজারাদার মোহাম্মদ ফুল মিয়া বলেন, আমি সরকারকে ২২লাখ টাকা দিয়ে চুনারুঘাট গরুর হাট ইজারা নিয়েছি। তিনি বলেন, এই হাট সপ্তাহে শুক্রবার ও রবিবারে বসে, অন্যদিকে উপজেলার ৫টি বাজারে অবৈধ পশুর হাটগুলো একই দিনে বসানো হয়। ফলে এখানে পশুর উপস্থিতি কমে গেছে। এভাবে চলতে থাকলে সরকারকে তার রাজস্ব দিতে সমস্যা হবে বলে জানান তিনি। গত ৩০মে সরকারি অনুমতি বিহীন গরুর হাটগুলো বন্ধের জন্য চুনারুঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে আবেদন করেন চুনারুঘাট সরকারি গরুর বাজারের ইজারাদার মোঃ ফুল মিয়া।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সত্যজিত রায় দাশ বলেন, সরকারি অনুমতি ছাড়া পশুর হাট বসিয়ে টাকা আদায় করা সম্পূর্ণ অবৈধ। জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।